Skip to main content

বাঙালীস্তান (Bangalistan) / বাঙালিস্তান

বাঙালীস্তান আন্দোলনের একটি মুহূর্ত 



বাঙালীস্তান হল আমরা বাঙালী  কর্ত্তৃক প্রস্তাবিত ভারতবর্ষে বাঙালীদের জন্যে একটি পৃথক বাসভূমি (রাজ্য) এবং শোষণমুক্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল । এটি বাঙালীস্তান আন্দোলনের জনক  মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দর্শন  "প্রগতিশীল ব্যবহারিক তত্ত্ব" (Progressive Utilization Theory)-এর উপর আধারিত একটি সমাজ আন্দোলন। বাঙালী তথা প্রাউটিষ্টরা ভারতীয় সংবিধানের পার্ট ওয়ানের ৩(এ) নং ধারা অনুযায়ী বাঙালীস্তান গঠনের দাবী রাখেন। তাঁরা বাঙালীস্তানে বসবাসকারী সকল বাসিন্দার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা – এই পাঁচটি ন্যূনতম প্রয়োজন পূর্তির মাধ্যমে এক মানবসমাজ গঠনের পক্ষপাতী। অতীতে বহুবার বঙ্গভূমি তথা বাঙালীস্তান বিভক্ত হয়েছে। ভারতে সংগঠিত হওয়া মান্দাই গণহত্যাকান্ড, নেলি গণহত্যা, হোজাই গণহত্যাকান্ড ইত্যাদি বাঙালীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের উদাহরণ। অত্যাচার ও শোষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ত্রিপুরা এবং অসম, মেঘালয়, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উড়িষ্যার কিছু বাঙালী অধ্যুষিত এলাকাগুলো নিয়ে বাঙালীস্তান গঠনের জন্যে আমরা বাঙালী দলটি ডাক দিয়েছে। অসমের নাগরিক পঞ্জীর প্রয়োগ ও দেশের অন্যান্য বাঙালী অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর প্রয়োগের আশঙ্কার দরুন বাঙালীরা আতঙ্কগ্রস্ত। এমনকি কিছু কিছু বিশেষজ্ঞমহলও NRC, CAA 2019, এবং NPR-এর উদ্দেশ্য নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। এমতাবস্থায় আমরা বাঙালীর বাঙালীস্তানের আন্দোলন দেশজুড়ে অব্যাহত রয়েছে।

বাঙালীস্তানের আয়তন

ভারত যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তাবিত বাঙালীদের বাসভূমির মোট আয়তন ২,৩৭,১৭৪ বর্গ কিমি। নিম্নলিখিত বাঙালী অধ্যুষিত এলাকাগুলো (অতীতে বিভক্ত হওয়া) নিয়ে "বাঙালীস্তান" গঠনের দাবী জানাচ্ছে আমরা বাঙালী। 

  • পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ,  এবং ত্রিপুরার সমগ্র ভূখণ্ড। 

  • ঝাড়খণ্ড রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত – (১) সমগ্র সিংভূম, (২) রাঁচি জেলার অন্তর্ভুক্ত সিল্লি, জোনহা, বুন্দু, সোনাহাতু, তামার, আরকি ও আঙ্গারা ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েত, (৩) হাজারিবাগ জেলার অন্তর্ভুক্ত – গোলা, পেটারবর, জেরিডি, কাসমার ও দামোদরের দক্ষিণাংশ, (৪) সমগ্র ধানবাদ ও বোকারো জেলা, (৫) সাঁওতাল পরগণা জেলার জামতারা, দুমকা, গোড্ডা, দেওঘর, পাকুড়, রাজমহল (সাহেবগঞ্জ টাউন বাদে)। 

  • বিহার রাজ্যের  (১) কিষাণগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত আড়ারিয়া মহকুমার পলাশী ব্লক, (২) কাটিহার জেলার অন্তর্ভুক্ত – বারসই, বলরামপুর, অমরপুর, আমেদপুর, মুকুরিয়া, কুমেদপুর, বৈসি ব্লক, দুধনিয়া রেল স্টেশন ও পুরাণপুর ব্লকের হোনা পঞ্চায়েত। 

  • উড়িষ্যার অন্তর্ভুক্ত – (১) সুন্দরগড় জেলার (পূর্ব সুন্দরগড়) অন্তর্ভুক্ত লোহানীপাড়া, কয়রা, রোনাই মহকুমার গুডুনড়িয়া ব্লকের চন্ডীপোশ ও বাঁকি পঞ্চায়েত , রাউরকেল্লা শহর ও পানপোশ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত বিরসা ব্লকের লাঠি কাটা ও জলদা পঞ্চায়েত, (২) কেওনঝড় জেলার (উত্তর কেওনঝড়) অন্তর্ভুক্ত – চামপুয়া মহকুমার চামপুরী , জোড়া ও ঝুমপাড়া ব্লক, বালেশ্বর মহকুমার কাঁকসা, ভোগরাই, চন্দনেশ্বর ও জলেশ্বর ব্লকের অর্ধাংশ, (৩) ময়ূরভঞ্জ জেলার (উত্তর-পূর্ব ময়ূরভঞ্জ) অন্তর্ভুক্ত – পন্তীপশি মহকুমার ঠাকুরমুন্ডা, সুকরুলি, বরুয়া, করঞ্জিয়া ও যোশিপুর ব্লক, বামুনঘাটা মহকুমার রায়রংপুর, তিড়িং, বহালদা, জামদা, কুসুমি, বিসই ও বিজাতলা ব্লক, বারিপদা মহকুমার রাজগোবিন্দপুর, বেতনটি ও সুলিপদা ব্লক। 

  • অসমের অন্তর্ভুক্ত – সমগ্র গোয়ালপাড়া জেলা, সমগ্র ধূবড়ি জেলা, সমগ্র কোকড়াঝাড় জেলা, সমগ্র বড়পেটা জেলা, বৃহত্তর কাছাড়, মিকির পাহাড়ের সমতল অংশ এবং নওগাঁ জেলার অন্তর্ভুক্ত – হোজাই, লঙ্কা ও লামডিং। 

  • মেঘালয়ের অন্তর্ভুক্ত – গারো, খাসি ও জয়ন্তিকা পাহাড়ের সমতল অংশ। 

তবে জেনে রাখা ভালো যে, পূর্বের প্রকৃত বঙ্গভূমির আয়তন আরও বড়, ভারতবর্ষের আন্তর্জাতিক সীমানাকেও লঙ্ঘন করে।


বাঙালীস্তান আন্দোলনের দাবীসমূহ 

  •  বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোকে একত্রে জুড়ে দিয়ে  সংবিধানের ৩ নং ধারা অনুযায়ী স্বয়ংসম্পূর্ণ শোষণমুক্ত সামাজিক-অর্থনৈতিক অঞ্চল "বাঙালীস্তান" পুনর্গঠন করতে হবে।

  •  দেশভাগের বলি হওয়া বাঙালীদের পাঞ্জাবীদের মতোই ভারতে ক্ষতিপূরণসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

  •  NRC-এর অজুহাতে বাঙালীদের বিদেশী, রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে।

  •  বাঙালী রেজিমেন্ট পুনর্গঠন করতে হবে।

  •  বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চলের সর্বত্র বাংলা ভাষাকে ঐচ্ছিক নয় আবশ্যিক ভাষা হিসেবে চালু করতে হবে ও সরকারী-বেসরকারী স্তরে বাংলা ভাষার সর্বাত্মক প্রয়োগ চাই।

  •  স্থানীয় কাঁচামাল ভিত্তিক শিল্প স্থাপন করে ১০০% লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

  • পুঁজিবাদ ও মার্কসবাদের বিকল্প প্রাউট  প্রতিষ্ঠা করতে হবে ও সর্বস্তরে নীতিবাদী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে,  ইত্যাদি।

বাঙালীস্তান আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতা

অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, বাঙালী জাতির উপর এদেশে বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে আক্রমণ সংগঠিত হয়েছে। আজ বাঙালী জাতির অস্তিত্ব সংকটাপন্ন , বাংলাভাষা, বাঙলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, জ্ঞান-গরিমা ইত্যাদি সবকিছুতেই ধ্বংসাত্মক বিষ ছড়িয়ে পড়েছে। বাঙালীস্তান আন্দোলনের জনক ও প্রাউট-প্রবক্তা মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন যে, নিকট ভবিষ্যতে বাঙালী জাতির জীবনে এক চরম ঐতিহাসিক যুগসন্ধিক্ষণে এসে  বাঙালীরা একজোট হয়ে বাঙালীস্তান গঠনের পথ সুগম করবে এবং এক মানবসমাজ গঠনে ব্রতী হবে। অর্থাৎ,  শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রবর্তিত সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দর্শন  তথা পূর্ণাঙ্গ ও প্রয়োগ ভৌমিক "প্রগতিশীল ব্যবহারিক তত্ত্ব" (প্রাউট)-এর আদর্শে "আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির পথ ধরে বিশ্বৈকতাবাদের প্রতিষ্ঠা" আমরা বাঙালী তথা বাঙালীস্তান আন্দোলনের যে লক্ষ্য তা মানবসভ্যতাকে বাঁচার পথ দেখাবে। বস্তুত, বাঙালীস্তানের আন্দোলন শুধু বাঙালীদের বাঁচাবার ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন নয়, বাঙালীস্তানের আন্দোলন হচ্ছে সমগ্র বিশ্বকে পুঁজিবাদ , মার্কসবাদ ও মিশ্র-অর্থনীতির করাল গ্রাস থেকে বাঁচানো এবং সারা বিশ্বে  অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।


বাঙালীস্তান আন্দোলন নিয়ে বিতর্ক 

বাঙালীবিদ্বেষী ও কায়েমী স্বার্থবাদীরা আমরা বাঙালীর বাঙালীস্তানের আন্দোলনকে সাম্প্রদায়িক তকমা দিয়ে প্রচার করে থাকে। এই অভিযোগের প্রতিবাদস্বরূপ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার কর্ত্তৃক লিখিত  "বাংলা ও বাঙালী" গ্রন্থের একটি  বাণী উল্লেখ করা হল – "সবকিছুই উহ-অবোহের পথে চলে। একদিন এই রাঢ়ও এই রকম ভাবে উহ-তে চলেছিল, দ্রুত গতিতে চলেছিল। তারপর নীচে নামল, আবার উপরে উঠবে। বাঙালী জাতির কথাটাই ভাব তো ! উনবিংশ শতাব্দীতে বিদ্যায়, জ্ঞানে বুদ্ধিতে, সংস্কৃতিতে, সাহিত্যে, শিল্পে কত বড় বড় দিকপাল জন্মেছিলেন এই বাঙলায়। আবার তাঁরা শেষ হয়ে গেলেন বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে। তারপর এসেছে একটা অবোহ অবস্থার যুগ। আমি আশা করি – শুধু আশাই করি না – দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি, এই অবোহের পরে অত্যন্ত নিকট ভবিষ্যতে সেই উহ আসছে। একেবারে চারিদিকে সবাই মণিদ্যুতিতে উদ্ভাসিত হয়ে এগিয়ে চলবে। গোটা পৃথিবীকে সাহায্য করবে এই বাঙলার মানুষ।"


বাঙলা ও বাঙালী সম্পর্কিত কিছু বিখ্যাত উক্তি 

  •  "বাঙলার প্রকৃত ইতিহাস চাই, নইলে বাঙালী বাঁচিবে না।"(বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)

  • "হিংস্র দুঃসময়ের পিঠের উপরে চড়ে তাকে বিভীষিকার পথ উত্তীর্ণ হতে হবে। দুঃসাধ্য অধ্যবসায়ের দুর্গম লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছাবই যদি আমরা মিলিতে পারি। বাঙালী অদৃষ্ট কর্ত্তৃক অপমানিত হয়ে মরবে না, সাংঘাতিক মার খেয়েও বাঙালী মারের উপরে মাথা তুলবে।" (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

  •  "বাঙালী যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে 'বাঙালীর বাংলা' সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে।"  (কাজী নজরুল ইসলাম)

  •  "হে বাঙলার ছাত্র ও তরুণ সমাজ ! তোমরা পরিপূর্ণ ও অখণ্ড মুক্তির উপসাক হও। তোমরাই ভবিষ্যৎ ভারতের উত্তরাধিকারী; অতএব তোমরাই সমস্ত জাতিকে জাগাইবার ভার গ্রহণ করো।" (নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু)

  •  "বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠী  অতীতে জীবিত ছিল, আজও জীবিত ও আমি আশা করবো ভবিষ্যতে সে আরও দুর্দান্তভাবে জীবিত থাকবে।" (শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার)

  •  "আমাদের এই গৌড়দেশকে সামগ্রিক ভাবে গৌড়দেশ অথবা পঞ্চগৌড় অথবা বাঙলা অথবা বাংলাদেশ – যে কোন একটা নাম দেওয়া যেতে পারে । বাঙালীস্তানও বলা যেতে পারে কারণ যে অর্থে তামিলনাড়ু, রাজস্থান, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম নামগুলি চলছে হুবহু সেই অর্থেই গৌড়দেশকে 'বাঙালীস্তান' বললেও মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। ওতে আঁৎকে ওঠার কী আছে! বরং ওই নাম এই পরিচিতই বহন করবে যে দেশটা বাঙালীদের মাতৃভূমি।"(শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার )

  • "বাংলার বুকের ভিতর বৃহত্তর মারোয়াল, উৎকল, সংযুক্ত প্রদেশ, পাঞ্জাব, ভাটিয়া ভূমি, অন্ধ্র, কেরালা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । প্রাণপনে সে সকলের অর্থনৈতিক আক্রমণ হইতে আত্মরক্ষা করিতে হইবে। যত প্রকার শক্তি আছে তাহার প্রয়োগ করিয়া অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত সঙ্কীর্ণমনা প্রাদেশিক বুদ্ধি সম্পন্ন হইয়া আমাদের আত্মরক্ষা করিতে হইবে। ভারতীয় জাতীয়তার দোহাই পাড়িয়া যাহারা আমাদের ঘরের মধ্যে ঢুকিয়া আমাদের বাড়া ভাতে ভাগ বসাইতেছে তাহাদের বাধা দিতে হইবে।"  (সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়)

  •  "What Bengal thinks today, India thinks tomorrow." অর্থাৎ, বাঙলা আজ যা চিন্তা করে , ভারতবর্ষ  আগামীকাল তা চিন্তা করে। (গোপালকৃষ্ণ গোখলে)

  • আজ রাজনীতির চুলচেরা বিচার নয়, নয় দলাদলি, বাঁচতে হবে বাঁচাতে হবে বাঙলার লক্ষ লক্ষ মৃত্যুপথযাত্রী নরনারীকে। বাঁচাতে হবে বাঙালীর কৃষ্টি, সাহিত্য, ঐতিহ্যকে। আমরা বিশ্বাস করি বেদনাময় হলাহলের মুখ থেকে জেগে উঠবে বাঙলা। তার ক্ষতির ক্ষত দিয়ে নিঃস্বারিত হবে মহাতেজ, জাগবে রাঙা প্রভাত।"  (শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়)


শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত "প্রভাত সঙ্গীত" (৫০১৮টি) থেকে 'বাঙলা ও বাঙালী' পর্যায়ের মাত্র তিনটি গান নিম্নে দেওয়া হল

(১)

বাঙলা আমার দেশ, বাঙলাকে ভালবাসি। 
বাঙলার দুঃখে কাঁদি, বাঙলার সুখে হাসি । ।
বাঙলার ভাই-বোনেরা মোর খেলারই সাথী,
বাঙলার হিয়া অমরা ঢেলে যায় প্রীতি নিতি ।
বাঙলার ফুল-ফল-জল, প্রভাতের স্মিত শতদল, 
যুগান্তরের নিরাশার কুয়াশা দিক নাশি' ।।
বাঙালীর যত আশা, বাঙালীর প্রিয় ভাষা,
বিশ্বৈকতাবাদে ফিরে পাক প্রত্যাশা । 
বাঙালীর ছেলেমেয়েরা বাঙালীর বোধিপসরা,
সার্থক হোক হে প্রভু মহতের ভাবে মিশি' ।।

(মধুকোরক কলিকাতা, ০১/০৯/১৯৮৬)

(২)

তমসা কাটিছে, বিহগ ডাকিছে, পূর্ব তোরণে খুলিছে দ্বার, 
বাঙালীস্তান এবার জাগিছে, তন্দ্রার ঘোরে থেকো না আর। 
জাগো ভাই-বোন, তরুণ সুজন, ভাঙ্গ আজিকার এ কারাগার।। 
ভগীরথ-সগরে দিয়ে চেঁছে, বিজয়সিংহ-শশাঙ্কে মুছে '।
জয়ন্তশূরে ফেলে রেখে নীচে ইতিহাস রচনা হবে কার। ।
পূর্বসূরী যা শুরু করেছিল, তার দায়িত্ব তোমাদের এল। 
বাঙালীস্তানের শিখা উজ্জ্বল জ্বালাইয়া রাখ দুর্নিবার। ।

(মধুকোরক কলিকাতা, ২১/০৫/১৯৮৯)

(৩)

মধুর চেয়েও আরো মধুর আমার বাংলা ভাষা ,
আমার প্রাণের ভাষা। 
শিরার স্রোতে ধমনীতে রক্তে মর্মে মেশা।। 
ওষ্ঠে যখন এল হাসি , নাবল চোখে আলোর রাশি। 
বলেছিলুম কোলে বসি' মা তুমি ক্লেশনাশা। ।
অনাদরে অবহেলায় তোমারে মা কে আজ কাঁদায় ।
জীর্ণবাসে ধূলায় লুটায় যে মোর সকল আশা। ।

(মধুকোরক কলিকাতা, ২২/০২/১৯৯০)

তথ্যসূত্র

  • আসামে এনআরসির প্রতিবাদে কলকাতায় সমাবেশ – www.prothomalo.com (সংবাদ-সংযোগ)
  •  Turmoil in the North East: The demand for Bangalistan, January 28, 2020, www.sabrangindia.in
  • 10 points demand presented at 6000 strong Amra Bengali meet: proutglobe.org
  • বাঙলা তথা ভারতের সামনে সমূহ বিপদ: মোকাবিল করতে হবে কীভাবে?: notunprithivi.com (সংযোগ)
  •  Who are the Amra Bangalis?: archive.indianexpress.com
  •  Tripura Bengalis raise demand for  separate state 'Bangalistan': www.indiatodayne.in (News link)
  •  কেন আমরা বাঙালী, কেন বাঙালীস্তান: notunprithivi.com (সংযোগ)
  •  List of massacres in India: Wikipedia
  •  The socio-economic potential of Bengal, official source:Prout in a Nutshell Part 20
  •  Assam NRC: what next for 1.9 million 'stateless' Indians?: www.bbc.com (News link)
  •  আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জী – উইকিপিডিয়া
  • বাংলা ও বাঙালী – শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার। 
  • বাঙালীস্তান – এক বৈপ্লবিক চিন্তাধারা – একলব্য।
  • চাই ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ – শ্রী রাখালরাজ দত্ত (অ্যাডভোকেট)। 
  • Amra Bangali: proutglobe.org
  • Article 3 in the Indian Constitution of India 1949: indiankanoon.org
  • Bengalis on the world's stage by Mekhala Banerjee, The University of Chicago 
  • Group warns of protest, 20.01.2020, www-telegraphindia-com.
  • Lawyers in Delhi hit streets to protest against CAA, NRC and NPR: www.indiatoday.in (News link)
  • Another big humanitarian crisis : India's Assam NRC issue: www.dailysabah.com (News link)  
  • Amra Bangali Party releases manifesto for Lok Sabha elections, Apr 09, 2024, tripuratimes.com (News link)
  • আমরা বাঙালি দুই প্রার্থীকে জয়যুক্ত করার আহ্বান দলের সম্পাদকের, এপ্রিল ৯, ২০২৪, স্যন্দন পত্রিকা (সংবাদ-সংযোগ) , ইত্যাদি।

আরও জানুন

  • PROUT in a Nutshell (Parts 1 to 21) – Shrii Prabhat Ranjan Sarkar. 
  • প্রাউটের রূপরেখা – শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার।
  • প্রাউট পরিচিত – আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত।  
  • যুগের দাবী প্রাউট  – আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত। প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সাল, দিল্লী সেক্টর।
  • ছাত্র ও যুব সমাজের প্রতি প্রাউটের আহ্বান – আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত। ইয়ূ.পি.এস.এফ., ইয়ূ.পি.ওয়াই. এফ.।
  • প্রাউট ও প্রাউটের সমাজ আন্দোলন – শোষণমুক্তির এক অনবদ্য পদক্ষেপ – জহরলাল সাহা। 

Comments